মহাখালী, গুলশান, বনানীর সুউচ্চ অনেক ভবন থেকেই টিনের চাল আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তিটির ছোট ছোট ঘিঞ্জি খুপরি ঘর চোখে পড়ে। এটি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় বস্তিগুলোর একটি।
খবর সংগ্রহের জন্য সরু গলি পেরিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ল অসংখ্য অলি-গলি, অন্ধকার খুপরি, নোংরা গোসলখানা ও টয়লেট। এখানে সেখানে জমে আছে আবর্জনা। এরই মধ্যে খেলছে শিশুরা।
পর্যাপ্ত জায়গা এবং খেলার মাঠ না থাকায় ঘরের সামনে যেটুকু খালি জায়গা আছে সেখানেই যে যার মতো খেলে বলে জানালেন অভিভাবকেরা।
আরেকটি গলিতে ঢুকতেই এক শিশুকে ঘরের মধ্যে ফুটবল খেলতে দেখা গেল। কথা বলে জানা গেল, ওর নাম হৃদয়।
সে বলে, “আমি ঘরেই খেলি সব সময়। বস্তির পাশেই একটা মাঠ আছে, কিন্তু সেখানে বড়রা খেলে, ছোটদের খেলতে দেয় না।”
বাইরে খেলার জায়গা নেই বলে ঘরের সামনেই খেলে বলে জানায় ছোঁয়া মনি নামের আরেক শিশু।
ঘরের দরজায় পুতুল খেলছিল আনিকা আক্তার মুন্নি(৪)। সব সময়ই এখানেই বলে জানায়। তিন বছরের শিশু আশরাফুলও ঘরেই ফুটবল খেলে বলে জানা গেল।
ছেলেমেয়ে কোথায় খেলে জানতে চাইলে রমিজ মিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, “এখানেই তো খেলব, খেলার মাঠ নাই কই খেলব।”
ছোঁয়া মনির মা আলেয়া বেগম বলে, “খেলার জায়গা নাইক্কা। এনে বইয়া, রাস্তায় বইয়া, চিপাচাপায় বইয়া খেলে।”