সরেজমিনে দেখা যায়, এক পাশে গান, আরেকপাশে হৈচৈ এর মধ্যেই অনেকেই বইয়ে মুখ গুঁজে বসে আছে।
কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখা গেল, এদের কারোরই প্রায় পড়ার টেবিল বা চেয়ার নেই। কারোর ঘরে নেই পর্যাপ্ত আলো। কেউ মেঝেতে বসে পড়ে আবার কেউ বিছানায়।
তারা হ্যালোকে জানায়, স্বপ্ন যেহেতু পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সেহেতু বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
কথা হয়েছিল রেশমা, ঊর্মি, মুনীয়া, রিয়াদের সঙ্গে। শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ছে মুনীয়া আক্তার।
মুনীয়া জানাচ্ছিল, তাদের স্কুলে যেতে নানা ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। একটা মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে এটা আশেপাশের অনেকেই ভালো চোখে দেখে না।
টিএন্ডটি আদর্শ স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেশমা জানায়, সন্ধ্যায় পড়তে বসলে আশেপাশের আওয়াজ, দোকানের গান বাজনায় তাদের সমস্যা হয়।
পড়াশোনা শেষ করে আর্মি হওয়ার স্বপ্ন দেখে ঊর্মি। ও টিএন্ডটি আদর্শ হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হোসেন।
রিয়াদ বলে, “আমাদের এখানে পড়তে অনেক অসুবিধা হয়। দেখা যায়, পাশের বাড়িতে ঝগড়া হচ্ছে; চিৎকার চেঁচামেচিতে আমরা পড়তে পারি না।
“কোনো প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে এলাকার ছেলেমেয়েরা বক্স বাজাচ্ছে, যেহেতু খেলার মাঠ নাই, বাচ্চারা রাস্তায় খেলছে এসবের আওয়াজে সমস্যা হয়।”
ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মোমবাতির আলোতে পড়তে হয় বলে জানায় শরীফা আক্তার সোনিয়া। ও মহাখালী মডেল হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।