ওর নাম মোকাররম নাদিম (১০)। ঘুরে ঘুরে পান সিগারেট বিক্রি করাই তার কাজ। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে তার বিক্রি।
অভাব অনটনে তার পড়ার সুযোগ হয়নি। লিখতে পারে না নিজের নামটাও।
নাদিম বলে, “পড়তে ইচ্ছে করে কিন্তু বাবা ঋণী তাই পড়তে পারি না।”
ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে তিন বছর আগে গ্রাম ছেড়ে পরিবারের সবাই চলে আসে ঢাকায়। বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই করছে কাজ।
“নাদিম বলে, বাবা বিদেশ যাইয়া চার, পাঁচ লাখ টাকা মাইর খাইছে। এরপর আমরা ঢাকা আইয়া পড়ি।”
প্রতিদিন পাঁচশো টাকার মতো আয় হয় তার। টাকা তুলে দেয় বাবার হাতে।
সে বলে, “বাবা আমাকে একশ টাকার মতো দেয় পাঁচশ টাকা থেইকা।”