ছেলেবেলা থেকে অন্যদের ফুটবল খেলা দেখলেও নিজের খেলাটা হয়ে ওঠেনি।
কিন্ত তার স্কুল কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজের মহিলা ফুটবল দল খোলায় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। যোগ দিয়ে অনুশীলন শুরু করেন সেই দলে।
এখনও অনেকেই মেয়েদের ফুটবল খেলাটা মেনে নিতে পারেন না। তিন্নিরও শুনতে হয়েছে নানা ধরনের কটু কথা।
তিন্নি বলে, “প্রথম প্রথম আমি অনেক সাপোর্ট পেয়েছি পরিবার থেকে। কিন্ত মাঝখানে অনেকে আমার আম্মুর কাছে বলছে যে মেয়েরা ফুটবল কেন খেলবে! মেয়েদের তো এটা করা ঠিক না, মেয়েরা থাকবে ঘরের মধ্যে, পড়ালেখা করবে, ঘরের কাজ করবে এতটুকুই।
“আমার আম্মুকে অনেকেই বলে, তোমার মেয়েকে রাস্তা দিয়ে দেখি ফুটবল খেলে, স্কুলে যেয়ে দেখি মাঠের মাঝে ফুটবল খেলতে! তো আমার আম্মু তখন বাধা দেওয়া শুরু করে যে খেলতে দিবে না।
“তখন আমি আম্মুকে বলি যে অন্যরা যখন খেলে তখন আমি কেন খেলতে পারবো না! পরে আম্মু সেটা বুঝে আমাকে খেলতে দেন।”
গোল রক্ষকের জায়গাটাই তার বেশ পছন্দের। স্বপ্ন দেখেন একদিন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবলের দলের হয়ে খেলবেন। নিজের পাশাপাশি ভরসা রেখেছেন সহযোদ্ধাদের উপরেও।
তিন্নি বলে, “আমার স্বপ্ন আমি জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের গোলকিপার হিসেবে খেলতে চাই। কদমতলা পূর্ব বাসাবো গার্লস টিমও অনেক ভালো খেলে।
“তারাও যদি নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ পায় তাহলে হয়তো ন্যাশনাল টিমে খেলতে পারবে।”
খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও এগিয়ে নিচ্ছেন সমান তালেই। স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় খেলার সময়ের বাইরে পড়ালেখাটা মনযোগ দিয়েই করেন।
গোল রক্ষক হিসেবে দলে দক্ষ হয়ে উঠছেন তিনি। কোচ মো. মাসুমও বেশ আশাবাদী তিন্নিকে নিয়ে।
এই প্রশিক্ষক হ্যালোকে বলেন, “তিন্নি যদি আর একটু চেষ্টা করে আরও পরিশ্রম করে তাহলে ভালো পজিশনে যেতে পারবে। ও এক্টিভ আছে তবে আর একটু এক্টিভ হলে, পরিশ্রম করলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমে খেলতে পারবে বলে আমি আশা করি।”