২৫ মার্চে পুলিশ বাহিনীর ত্বরিত সিদ্ধান্ত, সাহসিকতা ও বীরত্বগাঁথার বিভিন্ন প্রমাণ বহন করছে এই জাদুঘরটি।
অত্যাধুনিক, সুদৃশ্য ও নান্দনিক অবয়বে নির্মিত এ জাদুঘরে ঢুকলে প্রথমেই চোখ পড়বে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি। গ্যালারির দুই পাশের দেয়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা সময়কার দুর্লভ আলোকচিত্র ও কিছু বাণী। ডানপাশে রয়েছে একটি ভার্চ্যুয়াল লাইব্রেরি আর বামপাশে রয়েছে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল কক্ষ। লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নয় শতাধিক বই রয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিনই অনেক দর্শনার্থী আসেন এই জাদুঘরে। এসব দর্শনার্থীর বেশিরভাগই শিশু। এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে শিশুরা।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত জামিলা ইফা। সে তার বন্ধুদের সাথে এসেছে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।
ইফা হ্যালোকে বলে, “স্কুল থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এসাইনমেন্ট করতে দিয়েছে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে এসেছি।”
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জয়তি করিম আদিবা বলে, “মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগে যেসব জানতাম না এখানে এসে সেসব জানতে পেরেছি।”
বাবার সাথে বান্ধবীসহ খিলগাঁও থেকে আসা তুনাজ্জিনা মাহমুদ বলে, “আমি এখানে প্রথমবার এসেছি। আমার খুব ভাল লাগছে।”
মাসুদ রানা জয়, শিহাব ইসলাম, মো. জিসান ও মো. আরিফ চার বন্ধু একসাথে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। তারা জানায় প্রায় প্রতি শুক্রবারেই এখানে আসে তারা।
জিসান হ্যালোকে বলে, “যা যা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তা দেখতে আসি।”
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ছেলেকে ধারণা দেওয়ার জন্য ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছেন সামিউল করিম আলমগীর নামের এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম কোথায় থেকে শুরু হয়েছিল, কীভাবে শুরু হয়েছিল, রাজারবাগ থেকে কীভাবে কী শুরু হয়েছিল এসব জানানোর জন্য ছেলেকে নিয়ে আসা।”
প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত মুক্তিযুদ্ধের এই সংগ্রহশালা। শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
বিশেষ দিবস ছাড়া সরকারি ছুটির দিনে জাদুঘরটি বন্ধ থাকে।