সম্প্রতি উত্তরার একটি দিবাযত্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এখানে বেশ হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশেই দিন কাটাচ্ছে শিশুরা।
বাসায় আয়া রাখার চেয়ে এখানে বাচ্চা রাখাকে বেশি সুবিধাজনক বলে মনে করছেন অভিভাবক মাহমুদা আক্তার।
তিনি বলেন, “বাসায় আয়া আসলে পড়াশোনার দিকটা ভালোভাবে খেয়াল রাখতে পারেন না, ডে কেয়ার থেকে সেই সহযোগিতাটা আমি পাই।
“তাছাড়া অনেক ছেলেমেয়েদের সাথে মেশার ফলে শিশুদের মানসিক বিকাশ টাও ভালো হয়।”
তাহিরা আক্তার নামের আরেকজন অভিভাবক বলেন, “অনেক কর্মজীবী মা আছেন যাদের সন্তানকে দেখার মতো বাসায় কেউ থাকেন না। ফলে অনেক সময় চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাদের। বিদেশের মতো বাংলাদেশে ভালো মানের ডে কেয়ার হলে মায়েরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবে।”
ছয় মাস থেকে আট বছর পর্যন্ত ১২টি শিশু নিয়মিত আসে এই ডে কেয়ারে। শিশুরা জানায় একা বাসায় থাকার চেয়ে এখানে থাকতেই তাদের বেশি ভালো লাগে।
শিশু সোয়াদ বলে, “এখানে থাকতে আমার ভালো লাগে, বাবা মাকেও মিস করি মাঝে মাঝে।
“স্কুল থেকে ডে কেয়ারে এসে গোসল করে, লাঞ্চ করে, ঘুমাই, বিকেলে কানামাছি খেলি।”
আরেক শিশু ফারহান বলে, “সে তার মায়ের সাথে ডে কেয়ারে আসে। এখানে তার অনেক বন্ধু আছে, আন্টিরাও তাকে আদর করে।”
স্পর্শ ডে কেয়ারের উদ্যোক্তা সিদ্দিকাতুল হক জাপানে থাকার সুবাদে ওখানকার দিবাযত্ন কেন্দ্র দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই গড়ে তুলতেছেন এটি।
তিনি বলেন, “বিদেশের ডে কেয়ারগুলোতে দেখেছি সেখানে মাঠসহ আরো অনেক বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমি করতে পারছি না।”
তবে সরকারি উদ্যোগে আরো সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলা উচিত বলে তিনি মনে করেন।