জানা যায়, ডিএমপি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই পাঠাগারটি। প্রতিদিন বিকালেই এখানে বই পড়তে আসে দরিদ্র শিশুরা।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এখানে ছিল মাদকের আখড়া। বনানী থানা পুলিশ তল্লাশীর মাধ্যমে এই জায়গাটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তাদেরই উদ্যোগে এখানকার শিশুদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয় পাঠাগারটি।
সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া আজাদ হোসেন থাকে এই বস্তিতেই। সে এখানে প্রতিদিনই আসে বই পড়তে।
আজাদ বলে, “আমাদের ঘরের পাশে লাইব্রেরি। আমরা দলবেঁধে এখানে পড়তে আসি প্রতিদিন।”
কাওসার হোসেন স্বাধীন নামের আরেক শিশু বলে, “আমি এখানে সব সময় বই পড়ার জন্য আসি।
“এখানে ইলু পিশাচ, রক্ত নেশা, ক্যাপ্টেন টুটুবি, সুপুরুষ আর কালো ডাকাত বই পড়েছি।”
আয়তনে ছোট পরিসরে হলেও পাঠাগারটিতে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও সায়েন্স ফিকশনসহ নানা ধরনের বই।
এই পাঠাগারের দায়িত্বে থাকা স্বপ্না আখতার সেতু বলেন, “স্কুল ছুটির পর রেস্ট নিয়ে ওরা এখানে আসে। দূরে কোথাও যেতে হয় না ওদের, এখানে এসে ওরা পড়ে, খেলাধুলা করে।”