বুধবার মিরপুরের দুয়ারিপাড়া এলাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে এই নতুন যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।
কর্মসূচির প্রথম অংশে তারা তিন লাখ স্যানিটারি ন্যাপকিন বিনামূল্যে বিতরণ করবে। এরপর প্যাকেট প্রতি পাঁচ টাকায় এটা কিনতে পাওয়া যাওয়া যাবে। প্রতিটি প্যাকেটে থাকবে পাঁচটি প্যাড।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে দরিদ্র কিশোরীদের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছেন ফাউন্ডেশনটির সেচ্ছাসেবীরা। এসময় ফাউন্ডেশনটির স্বেচ্ছাসেবী দিপ্তী চৌধুরী হ্যালোকে বলেন, “একটা মেয়ে যখন কিশোরী হয় তখন কিন্ত সে জানে না পিরিয়ড হলে কী হবে! যখন হয়ে যায় তখন সে মারাত্মক ভয় পায়, নিজের শরীর থেকে এত ব্লিডিং হচ্ছে এটা খুবই ভয়াবহ একটা ব্যাপার।
“তাই প্রত্যেকেরই উচিৎ আসলে নিজের ফ্যামিলির যে সদস্য কিশোরী হয়ে উঠছে তাকে আগে থেকে বলে রাখা। এই ট্যাবুগুলো ভাঙার জন্যই আমাদের প্রোগ্রামগুলো।”
বর্তমানে বাসন্তী নামের স্যানিটার প্যাড বিনামূল্যে বিতরণ করা হলেও ভবিষ্যতে যাতে সহজেই কিনতে পারা যায় সেজন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র পাঁচটাকা। এসময় বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড পেয়ে এটি ব্যবহারে উৎসাহি হয়েছেন বলে জানায় কিশোরীরা।
অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার বলেন, “বিদ্যানন্দকে ধন্যবাদ জানাই বিনামূল্যে এই প্যাড দেওয়ার জন্য। আরও বেশি আনন্দ লাগতেছে যে পরবর্তীতে যদি এটার উপকারিতা পাই তাহলে স্বল্প মূল্য পাঁচ টাকাতেই এটা পাবো।”
রুকাইয়া খাতুন নামের এক কিশোরী বলে, “আমি এটা পেয়ে খুবই আনন্দিত। আগে তো কাপড় ব্যবহার করতাম এখন এটা পেয়ে ভালোই হয়েছে।”
এই ক্যাম্পেইন নিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক সালমান খান ইয়াসিন বলেন, “আমরা যে শুধু তাদের হাতে প্যাডটা তুলে দিয়েছি তা নয়, প্যাডটা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কেন ব্যবহার করতে হয়, এটা ব্যবহার না করলে কী ক্ষতি হয়, কাপড় ব্যবহার করলে কী সমস্যা হয়-এই ব্যাপারগুলো তাদের জানিয়েছি।”