সম্প্রতি পার্কটির সামনে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় চাঁদপুর থেকে আসা অভিভাবক নাজমার (৪৫) সঙ্গে।
দুই সন্তান শাহেদ (১৩) ও জিহাদকে (১১) নিয়ে এসেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “এসে বন্ধ পাইলাম।“
প্রথমবারের মতো শিশু পার্কে ঘোরার ইচ্ছা পুরণ হয়নি শাহেদ-জিহাদের। শাহেদ জানায়, শিশু পার্ক বন্ধ থাকায় তার মন খারাপ।
বাবার সাথে মিরপুর-১২ থেকে এসেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তারিন (৫)। ওর শখ ছিল রাইডে চড়বে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ পার্ক যেন তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হয় এমনটাই চাওয়া তার।
তারিনের বাবাও সুর মেলালেন সন্তানের সাথে। তিনি বলেন, “ আমি জানতাম না শিশু পার্কের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ।”
পার্কের পাশেই রয়েছে ফুচকা, চটপটিসহ নানা খাবার ও শিশুদের খেলনাসামগ্রীর কিছু অস্থায়ী দোকান। পার্ক বন্ধ থাকায় এখন মানুষের আনাগোনা কম। তাই পার্ক ঘিরে গড়ে ওঠা দোকানগুলোর বিকিকিনিও কম হয় বলে জানালেন দোকানীরা।
এক মুখোশ বিক্রেতা বলেন, “আগের মতো বেচাকিনি নাই। টুকটাক বেচাকিনি হয়। লোকজন আসে না। আমরা আইসা বইসা থাকি। টুকটাক বেচতে পারি।“