রোববার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই ফেইসবুক লাইভে হ্যালোর সাংবাদিকদের সঙ্গে অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন নারী স্বাস্থ্য অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা।
অনুষ্ঠানটি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
লাইভে শিশু সাংবাদিকরা ঋতুস্রাব নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করে।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিশু সাংবাদিক শাঁওলী সামরিজা বলে, “আসলে ঋতুস্রাব ব্যাপারটা আমাদের জন্য কঠিন। কারণ এমন অভিজ্ঞতা আমাদের আগে হয় না।
“এইটার মাধ্যমে মেয়েদের জীবনে নতুন আরেকটি অধ্যায় খুলে যায়। আমার যখন প্রথম ঋতুস্রাব হয় আমি তখন বাবার সাথে সাইকেল চালিয়ে আসছিলাম। বাসায় আসার পর আমার একটু অন্যরকম লাগছিল, খারাপ লাগছিল। পরে আমি বুঝতে পারি আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে আমার মায়ের সাথে কথা হয়েছিল। তবে আমি যখন ভেঙে পড়েছিলাম তখন আমার বাবা-মা দু’জনেই আমার সাথে ছিলেন। যার কারণে এইরকম একটি কঠিন বিষয় আমার কাছে সহজ হয়ে গেছে।”
ঋতুস্রাবের বিষয়টি প্রথম দিন বুঝতে পারেনি জানিয়ে শিশু সাংবাদিক অহনা আনজুম বলে, “আমি তখন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। আমার মধ্যে কিছু একটা পরির্বতন হয়েছে বুঝতে পারি। মাকে তখন আমি ফোন দিই। মা ফোন না ধরায় মামীকে জানাই। মামি মাকে জানান।
“অফিসের জন্য মা আসতে না পারায় বাবাকে দিয়ে সবকিছু পাঠান। বাবায় আমার কেয়ার করেন।”
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নারী স্বাস্থ্য অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা বলেন, “বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে সাত হাজার বা আট হাজার মেয়েদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে যেমন ঋতুস্রাবকালীন ভালো অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি আবার অনেকের কাছে খারাপ অভিজ্ঞতার কথাও জেনেছি।”
তিনি বলেন, “ঋতুস্রাব বিষয়টিকে এখন অনেক পরিবারই স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। একটা সময় সবাই সচেতন হয়ে উঠবে।”