ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়ক জানান, এটাকে যেন ভিক্ষাবৃত্তি মনে না হয় তাই নামমাত্র মূল্যে এই খাবার সরবরাহ করা হয়।
পথশিশু মো. জনি বলে, “মুরগির মাংস দেয়, ডিম দেয় এক টাকা দিয়া। খাবারডা খুব ভালো লাগে।”
জানা যায়, দিনভেদে একবেলার এসব খাবারে রয়েছে পোলাও, মাংস, খিচুড়ি-ডিম, বিরিয়ানি।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, নামমাত্র মূল্যে সন্তানের জন্য ভালো খাবার পাওয়ায় তারা খুশি।
দিনমজুর নাজমা খাতুন বলেন, “এক টাকায় খাবার ভালোই দেয়। সবার বাবা-মারই এটা পছন্দ। কারণ সবাই তো আর সবসময় এরকম ভালো খাবার পায় না। সব সময় জোটেনা।”
উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. সালমান খান বলেন, “বাচ্চাদেরকে যখন আমরা পড়ানো শুরু করি তখন দেখা যায় অনেক শিশুই ঝরে পড়ছিল। কারণটা অনুসন্ধান করতে যেয়ে দেখা যায় তাদের অনেকেই না খেয়ে স্কুলে আসে, কারো বাড়িতে খাবার থাকেও না।
"তাই খাবার জোগাড় করতেই তারা চলে যেত অন্য কাজে। সেখান থেকেই আসলে এই ভাবনা শুরু।”
এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত আছেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী। বিনা পারিশ্রমিকে শুধু ভালোবেসেই কাজটি করছেন বলে জানান তারা।
প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে সাতশ শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে ফাউন্ডেশনটি।