সম্প্রতি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে কয়েক জন শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
দর্শনার্থী শিশু রিমন (১৩) বলে,“ সাইনবোর্ডের লেখা আমরা ভালো করে বুঝতে পারি না। কিন্তু স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে ভালো করে জানতে চাই।”
আরেকজন শিশু জানায়, তারা এখানে প্রায়ই ঘুরতে আসে। কিন্তু এর পেছনের ইতিহাস জানে না।
সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে স্মৃতিসৌধের মূল কাঠামো গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে বড় ক্রমে সাজানো। জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ভিন্ন পর্যায়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন,১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়,১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন,১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন,১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন,১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নির্দেশ করে।
এছাড়াও পুরো কমপ্লেক্সে রয়েছে কৃত্রিম জলাশয়,বাগান ও গণকবর।
অভিভাবকদের চাওয়া-আগামী প্রজন্ম যাতে আরও সহজভাবে স্মৃতিসৌধের বিস্তারিত ইতিহাস জানে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এক অভিভাবক বলেন, “ আমাদের সন্তানরা যাতে স্বাধীনতার ইতিহাস সুন্দরভাবে জানতে পারে,তার জন্য আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রয়োজনীয় তথ্য-সমৃদ্ধ সাইনবোর্ড, ব্যানার,ফেস্টুন লাগানো যেতে পারে।
“শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তারা যাতে তা মনে রাখে এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাই।”
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে গড়ে তোলা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নকশায় তৈরি স্মৃতিসৌধ দেশের নানা স্থান থেকে দেখতে আসে হাজারো মানুষ। দর্শনার্থীদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশুও।