তেজগাঁও স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমির উপর মাঠটিকে ঘিরে ১৯৫৭ সাল থেকে খেলাধুলা পরিচালনা করে আসছে ‘খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ।’ শিশুদের খেলার ব্যবস্থা করায় তেজগাঁওয়ে খেলাঘরের সুনাম রয়েছে।
নির্মাণাধীন এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কারণে মাঠের ৫৬ শতাংশ জায়গা হারাতে বসেছে বলে জালালেন সংঘের কর্তাব্যক্তিরা।
এলাকার একমাত্র খেলা ও বিনোদনের জায়গাটিও সংকুচিত হবার আশঙ্কায় শিশু-কিশোররাও।
শিশু মিজান বলে, “আমরা এই এলাকায় থাকি। এটি ছাড়া এ এলাকায় আর কোনো মাঠ নাই।
“আমাদের সব খেলাধুলা এ মাঠকে কেন্দ্র করেই।”
খেলাধুলার প্রসারে খেলাঘরের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মাঠটিকে বাঁচানোর কথা বলেন ক্লাবের কর্মকর্তারা।
দীর্ঘদিনের পুরনো এই ক্লাব শিশুদের জন্য বিভিন্ন ইনডোর ও আউটডোর খেলার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই সংঘ জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার তৈরিতে অবদান রাখছে। এবারে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জাতীয় দলের চারজন ক্রিকেটার প্রশিক্ষণ পেয়েছে এই খেলাঘর থেকে।
কোচ রুহুল আমিন বলেন, “জাতীয় ক্রীড়ার উন্নয়নে এ ক্লাবের অবদান আছে। আমাদের একটি ক্রিকেট একাডেমি আছে। সেখানে ৯ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।”
মাঠ সংলগ্ন পরিত্যক্ত কলোনিটি ভেঙে মাঠের জন্য পুনরায় জায়গা তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি এ সংঘের সদস্যদের।