সম্প্রতি বাসাবোতে মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে সামিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে তৃপ্তির সাথে ঝালমুড়ি খেতে দেখা যায়। এ সময় সেই ঝালমুড়ি বিক্রেতার পাত্রের আশপাশে মাছি ভনভন করতেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে সামিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে বলে,“ আমরা এ খাবার খেয়ে অসুস্থ হই না।”
এ সময় এসব খাবার সম্পর্কে পাশ থেকে জেরিন বলে ওঠে-‘অস্থির।’
অন্য শিশুরাও জানায়, টিফিনে অথবা ছুটির সময় বাসার তৈরি খাবারের চেয়ে হকারের তৈরি খাবার তাদের বেশি পছন্দ। ঝালমুড়ি, আচার, ফুচকা, চটপটিসহ সব রকম খাবারই পছন্দ করে তারা। সব সময় খাচ্ছে এসব খাবার।
এক ছাত্রী জানায়, এসব খাবার খেয়ে সে অসুস্থ হয়েছিল।
তবে এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কিনা-তা জানা না থাকলেও কেউ কেউ ‘আত্ববিশ্বাসের’ সঙ্গে জানায়, তারা খোলা খাবারে খেয়ে অভ্যস্ত।এতে অসুস্থ হয়নি কখনো।
এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রেতাদের দাবি,ধুলোবালি কিছুটা পড়লেও তারা যথাসাধ্য ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। এ সব খাবার খেলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
তবে কোনো কোনো বিক্রেতা স্বীকার করেন এসব খাবার ক্ষতিকর।
ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন,“আমরা তাদের [শিশুদের] বলি-তোমাদের পেট খারাপ হবে। খোলা বাসি খাবার খেয়ো না।
“যারা এসব বিক্রি করে তাদের বলি-অন্তত বিদ্যালয়ের ভেতরে যাতে এসব বিক্রি না করে।”
খোলা খাবার খেলে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি জানান সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হসপিটালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান রানা।
ডা. আসাদুজ্জামান বলেন,“ বাসার খাবারের প্রতি অনীহা-ই শিশুদেরকে বাইরের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলছে।
“এর ফলে পেটের পীড়া,গ্যাস্ট্রিক,ডায়রিয়া,জন্ডিসসহ আরও অনেক ধরনের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা।”
শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় খোলা খাবার না খাওয়ার এবং এ ব্যাপারে অভিভাবকদের আরও সচেতন হবার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
জানা যায়, রাজধানীর প্রায় সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সামনেই বিক্রি হয় এ রকম খোলা খাবার। গরমকালে বিভিন্ন ধরণের সরবত বিক্রি হয় বলেও জানায় স্কুল শিক্ষার্থীরা।