প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় তাকে। সহকারীর কাজে মিলছে দৈনিক ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে বলে জানায় সে।
মাঝে মধ্যে বকশিস ‘কপালে জুটলে’ ৪০০ টাকাও হয় তার। এরই মধ্যে রপ্ত করে ফেলেছে লেগুনা চালানো।
বাবা-মা থাকলেও সংসারের খরচ জোগাতে তারা অক্ষম। শুভর আয়ের উপর তার পরিবার নির্ভরশীল।
শুভর মতো রাজধানীর বিভিন্ন রুটে লেগুনার সহকারীর কাজ করে ৮ থেকে ১৫ বছরের অনেক শিশু। তাদের অনেককে চালক হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়।
বারো বছর বয়সী রাশেদ নামের এক শিশু মজুর বলে,“আগে পড়তাম এহন পড়ি না। আর অভাবে লেহাপড়া করতে ভাল্লাগে না।”
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হলেও তাদের হাসি-ঠাট্টা-খুনসুটির সঙ্গী হয়ে উঠেছে লেগুনা।
এ ধরণের শিশুশ্রম আইনে নিষেধ থাকলেও কেন করাচ্ছেন জানতে চাইলে লেগুনা চালক মো. সুমন (৩০) বলেন,“এদের অনেকের মা-বাবা নাই বা বড় ভাই নাই। ওর মা যে ওর লেখাপড়া চালাবে সেই সামর্থ্য তার নাই।
“ওর তো কাজ করে খেতে হবে।”
আরেক চালক বলেন, “বেকার থাকলে এসব শিশুরা খারাপ হয়ে যেতে পারে।কাজের মাঝে থাকলে ওরা মানুষে হতে পারবে।”
লেগুনা যাত্রীরা জানান,অদক্ষ এসব চালক বেপরোয়াভাবে লেগুনা চালায়।