দোকানগুলোর টুংটাং শব্দই বলে দিচ্ছে ঈদ ঘনিয়ে এসেছে। কামারদের দোকানগুলোতে এখন লোহা আগুনের শিখায় তাপ দিয়ে, হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, বিভিন্ন ধরনের ছুরি, চাপাতি। এর পাশাপাশি চলছে পুরানো দা, বটি, ছুরি ও চাপাতিতে শান দেওয়ার কাজ।
সিরাজগঞ্জ জেলার কামার পাড়ার কামারদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
শহরের বাহিরগোলা এলাকার সুবোধ চন্দ্র কর্মকার। বংশগতভাবেই করেন কামারের কাজ। সারা বছর কাজের চাপ কম থাকলেও এখন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঈদের আগের কয়েকদিন দা, ছুরি, চাপাতি, বটি বানাতে ও পুরোনোগুলো শান দিচ্ছেন তিনি।
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “ঈদের পর কাজের তেমন চাপ থাকবে না, ফলে সংসার চালানোয় সমস্যা হয়ে যাবে।”
স্থানীয় আরো কয়েকজন কামার বলেন, কোরবানী ঈদের জন্য কাজের প্রচুর চাপ আছে। ঈদে দা, বটি, বিভিন্ন ধরনের চাপাতি ছুরি ও চাপাতি তৈরি করছেন তারা।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এমদাদুল হক এমদাদ বলেন, “জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে কামারদের ক্ষুদ্র ঋনের আওয়াতায় এনে আর্থ সামাজিকভাবে সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।”