সরেজমিনে জেলার ভেলাবাড়ী কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
জানা যায়, ছেলেদের জন্য তিনটি শৌচাগার থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে একটি; যেটি মেয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে, বিজ্ঞানাগারের জন্য নেই কোনো নির্দিষ্ট কক্ষ ও সরঞ্জামাদি, পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই বৈদ্যুতিক পাখা।
দশম শ্রেণির ছাত্র সাহিদুল ইসলাম (১৬) হ্যালোকে বলে, “আমাদের মাদ্রাসায় ছেলেদের জন্য কোনো টয়লেট নেই। এ নিয়ে আমাদের খুব কষ্ট পোহাতে হয়।”
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহমুদুল হাসান হ্যালোকে বলে, “আমাদের শ্রেণি কক্ষের টিনের চালটি ভাঙা, একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়।”
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নাজমা খাতুন (৯) বলে, “বৃষ্টি এলে আমাদের শ্রেণি কক্ষে বই রাখার যায়গা থাকে না, বই নিয়ে অন্য কক্ষে যেতে হয়।“
বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র মমিনুল ইসলাম মধু (১৭) বলে, “আমাদের বিজ্ঞানের বিভাগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট ক্লাস নেই, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ক্লাস করতে হয়, সেখানে লেখার জন্য কোনো বোর্ড নেই।
“বোর্ড ছাড়া বিজ্ঞানের ক্লাস নেওয়া অসম্ভব প্রায়, আর কক্ষে কোনো বৈদ্যুতিক পাখা নেই, তাই এই গরমে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।“
বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির আরেক ছাত্র আলিমুদ্দিন ইসলাম (১৭) বলে, “বিজ্ঞান বিভাগের জন্য শিক্ষকের অভাব রয়েছে। গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ের জন্য শুধুমাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন।”
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য একটি কক্ষ থাকলেও সেখানে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। আর বিজ্ঞানের ছাত্ররা যে কক্ষে ক্লাস করে, সেই কক্ষে লেখার জন্য বোর্ড নেই, বোর্ড ছাড়া বিজ্ঞানের ক্লাস নেওয়া অসম্ভব প্রায়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, “মাদ্রাসায় উন্নয়নের কাজ চলছে, নতুন টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। আর পুরাতন টয়লেট আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে।
“বাকি সমস্যাগুলোও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমাধান করা হবে।”