‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ ধ্বনিতে শনিবার মির্জাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন 'এ' খাওয়ানো হয়।
এ ভিটামিন খাওয়াতে নিয়ে আসা শিশু সিফাতের মা বলেন,"বাচ্চাকে ভিটামিন 'এ' খাওয়ানোর জন্য নিয়ে আসলাম, যাতে পরে ওর কোনো রোগ না হয়।"
"মা হিসাবে আমি সচেতন, আমার মেয়ের সব সমস্যায় ডাক্তারের সাথে কথা বলি, কখন কী লাগবে জেনে নেই। হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শেই ভিটামিন-এ খাওয়াতে নিয়ে এসেছি,” বলেন, সদ্য মা হওয়া আলিয়া আক্তার।
ভিটামিন-এ খেতে আসা শিশু আরিয়ান বলে,'খেতে অনেক মজা,মিষ্টি লাগে।‘
স্বাস্থ্যকর্মী আতিয়া হ্যালোকে বলেন, "সকাল টা থেকে আমাদের ক্যাম্পেইন শুরু হয়। ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল ও ১২ থেকে নয় মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছি।
“বিকাল চারটায় ক্যাম্পেইন শেষ হবে। সকালে ভিড় ছিল। দুপুরে একটু কম আবার বিকেলে ভীড় বাড়তে পারে।"
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরি্কল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, "ভিটামিন 'এ ' মূলত রাতকানা রোগ প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
"এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাটাছেঁড়া দ্রুত সারাতে এবং হাম, দীর্ঘ মেয়াদী ডায়রিয়া, মারাত্মক অপুষ্টি রোধেও কাজ করে।
“এ ভিটামিন শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন 'এ' আমাদের দেহে মজুদ থাকে না, তাই বছরে দুইবার এ ক্যাম্পেইন করা হয়।”
সারাদেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
টাঙ্গাইলে এ ক্যাম্পেইনে জেলার ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৫শ’ শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের ভিটামিন এ এবং ১২ মাস থেকে ৯ মাস বয়সী চার লাখ ৬২ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।