প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় দুই শিফটে পরিচালিত হচ্ছে ৬০০ বয়স্ক শিক্ষা বিদ্যালয়।
সরেজমিনে দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী ইউনিয়নের আদাবাড়ীর এক বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে হয় হ্যালোর।
বাল্যকালেই বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি এসেছে সুফিয়া বেগম (২৫)। তাই পড়াশোনাও ঠিক করে হয়ে ওঠেনি।
সুফিয়া বলেন, “এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। তেমন কিছু হতে না পারলেও মোটামুটি কিছু শিখতে পারলেই হলো।”
বয়সের বাধা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে পড়তে আসে হাসনা বাবু (৫৭)। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের মতো স্কুলে আসি। পড়া শিখি ও লেখি। ভালোই লাগে। প্রথম দিকে মানুষ ঠাট্টা করলেও এখন করে না। লজ্জা পেয়ে লাভ কী?
প্রকল্প নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মর্জিনা আক্তার হ্যালোকে বলেন, “সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ বই শেষ করা কঠিন হবে। আরো কয়েক মাস সময় দরকার বই শেষ করতে।”
তবে তিনি ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো.শরীফ হাসান হ্যালোকে বলেন, “নিরক্ষরতা দূর করাই প্রকল্পটির প্রধান লক্ষ্য।
“বেতন দেওয়া হচ্ছে তবে তাদের কাজ দেখে। এছাড়া কোনো অভিযোগ থাকলে উপজেলা কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন।
”