মেলামাইন, প্লাস্টিকসহ আধুনিক নানান সহজলভ্য সামগ্রীর দখল নিয়েছে কাঁসার বাজার। আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি আর পূঁজির অভাবে ধুকছে বংশ পরম্পরায় চলে আসা এ কাঁসাশিল্প।
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ইসলাপুরের ফকিরপাড়া গ্রামে অনেক আগে কাঁসা শিল্প গড়ে উঠে। পরে এলাকাটি কাঁসারিপাড়া নামে পরিচিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় ঝকঝকে, তকতকে কাঁসার বাসন-কোসন ছাড়া কোন বাঙালির ঘর-সংসার কল্পনা করা যেত না। মোঘল আমল থেকেই পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে ছিল কাঁসার কদর। সে সময় থেকেই ইসলামপুরের অসংখ্য পরিবার জড়িয়ে ছিল এই শিল্পের সাথে।
সীসা, মেলামাইন, প্লাস্টিক, সিরামিক আর কাঁচের তৈজসপত্রের ভিড়ে এখন কাঁসার প্রচলন ততটা না থাকলেও সৌন্দয প্রিয় মানুষ আর সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের কাছে এখনও কাঁসার তৈজসপত্রের কদর রয়েছে।
শ্রমিক আর মালিকের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ায় অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুরের কাঁসা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।