উৎসবের প্রথম দিন সূর্যোদয়ের পর থেকে উপজেলার বোয়ালমারি করতোয়া নদীতে এই স্নান শুরু হয়।
ব্রিটিশ আমল থেকেই চৈত্রের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর করতোয়া নদীর উত্তরমুখী স্রোতে এই গঙ্গাস্নান হয়ে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নদীতে স্নানের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় ও গঙ্গা মন্দিরে পূজা অর্চনা করা হয়।
পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে নদীর তীরে আয়োজন করা হয় সপ্তাহব্যাপী বারুণী মেলা। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা এ মেলা থেকে গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত পিতল, কাঠ এবং মাটির তৈরি নানান সামগ্রী কিনে থাকেন।
এছাড়া মেলায় শিশুদের জন্য হাতি,ঘোড়া, নাগরদোলা, মোটরসাইকেল খেলা, সার্কাস দেখানো হয়৷
মেলায় আসা নরেশ চন্দ্র বলেন, "কয়েক দিন আগে বাবা মারা গেছেন। স্বগীয় বাবার সৎকার্যের জন্য এসেছি। "
নীলফামারী থেকে আসা কমলা রানী হ্যালোকে বলেন, "বাপ দাদাদের কাছ থেকে শুনেছি নদীর উত্তরমুখী স্রোতে স্নান করলে পাপ মোচন হয়। তাই এখানে পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্নান করতে এসেছি।"
বোয়ালমারী গঙ্গা মন্দির কমিটির সভাপতি ধনীরাম বাবু বলেন, "ব্রিটিশ আমল থেকেই চৈত্রের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর করতোয়া নদীর তীরে উত্তরমুখী স্রোতে এই গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হয় এবং অনেক আগে থেকেই এই মেলা বসে।"