এখনও অরক্ষিত ৭১’র গণ কবর (ভিডিওসহ)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়ান-সাটিয়াচড়ার মুক্তিযুদ্ধের গণ কবরগুলো এখনও অরক্ষিত অবস্থায় আছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এখনও অরক্ষিত ৭১’র গণ কবর (ভিডিওসহ)

গ্রামটি ঘুরে হ্যালো কথা বলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের স্বজনদের সঙ্গে।

যুদ্ধে মা ও বোনকে হারান আব্দুল্লা হেল কাফী নামের একজন।

সেদিন সন্ধ্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “১৬ জন এক সঙ্গে ছিলাম, সেখান থেকে মা-বোনের গায়ে গুলি লাগে।

“আমার ছোট বোন ও মা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান।”

এত বছরেও কেউ তাদের কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেনি বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল টাঙ্গাইলে পাকিস্তানিরা হেলিকপ্টারযোগে আক্রমণ চালায় ও  আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় গ্রামের অনেক  ঘর বাড়ি।

এসময় ইপিআর ও পুলিশ ২৯ জন, গোড়ান-সাটিয়াচড়া, পাকুল্লা গ্রামের ৫১ জন, ঢাকা থেকে আগত অজ্ঞাত নামা ৫১ নিরীহ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। বীরাঙ্গনা ছিলেন তিনজন।

সেসময় নিহতদের গণ কবর দেওয়া হয় গোড়ান-সাটিয়াচড়া গ্রামে।

দেখা যায়, একটি গণকবর ইট দিয়ে বাঁধানো হলেও তাতে নেই স্মৃতি ফলক, বাকিগুলো নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।

একাত্তরের ভয়াল সেই গণহত্যার ইতিহাস দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

এই গ্রামের তরুণ প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে একাত্তরে তাদের পূর্ব পুরুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস।

মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম ফারুক বলেন, “এত বছরেও গণকবর সংরক্ষণ না হওয়া দুঃখজনক।

“মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের কাছে দাবি জানাই আগামী তরুণ প্রজন্ম যাতে এই গ্রামের গণহত্যার ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য অরক্ষিত করবগুলো সংরক্ষণ করা হোক।”

বাহার তালুকদার নামে এক তরুণ বলেন, “এই গ্রামের সন্তান হয়েও বলতে পারব না কতগুলো গণকবর গ্রামে আছে। আর একাত্তরে কী হয়েছিল। তবে শুনেছি পাকিস্তানিরা নাকি গ্রামের অনেক মানুষ মেরেছিল।

“আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, আমাদের পরের প্রজন্ম তাও বলতে পারবে না হয়তো। তাই ইতিহাস সংরক্ষণের দাবি জানাই।”

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com