সরেজমিনে কথা হলে তারা হ্যালোকে বলে, শুধুমাত্র পরিবারের অভাব মেটাতে তাদের এই কাজ করতে হচ্ছে। জানা যায়, তাদের কেউই স্কুলে যায় না।
এনামুল, জিহাদ, নবিউল, মনিরুল, জাহিদুলের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
জানা যায়, এক হাজার ইট তৈরি করলে ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। প্রতিটির জন্য পায় ৫০ পয়সা।
এনামুলের বয়স ৮ বছর। ছয় সদস্যের পরিবারে বাবা নেই। এক বোন আর এক ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের খোঁজ রাখে না কেউ। বাধ্য হয়েই ছোট ভাইবোন ও মায়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে এনামুলের কাঁধে।
সারাদিনের পরিশ্রমের পর হাতে টাকা আসলে স্কুলে যাওয়া হয় না বলে আক্ষেপ করে এনামুল।
এনামুলের মতো জিহাদ, নবিউল, মনিরুল, জাহিদুলও স্কুল ছাড়া।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সবের্শষ প্রতিবেদন অনুসারে, বতর্মান পৃথিবীতে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু শ্রমজীবী রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ অনুসারে দেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু শ্রমজীবী রয়েছে।
এদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের, মতে এই সংখ্যা ১৩ লাখ।
এ ব্যাপারে ভাটাটির ব্যবস্থাপক হ্যালোকে বলেন, “আমরা শিশুদের কাজে নিই না। আমার আড়ালে কাউকে নেওয়া হলে পরে চোখে পড়লে তাদের বের করে দেই।”