বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের বন্যায় ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও খেলার মাঠ। এরপর থেকেই অন্যের বাড়ির আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১০০শিক্ষার্থী ও চার জন শিক্ষক রয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণীর আবিদ হাসান বলে, "এক সঙ্গে তিন শ্রেণির ক্লাস নেন স্যাররা। এতে ক্লাসে মনোযোগী হতে পারি না। অন্য ক্লাসের শব্দ আসে, স্যারের কথা বুঝি না।”
তৃতীয় শ্রেণির বিপাশা আলমগীর বলে, "এখন তো দুপুরে রোদ আহে, প্রচুর গরম লাগে। আমাদের কষ্ট হয়।”
খেলাধুলা করে কীনা জানতে চাইলে পঞ্চম শ্রেণির বাদশা মিয়া বলে, "স্কুলে ক্লাস করার জায়গাই নাই, খেলব কীভাবে?
“আমাদের খেলার মাঠ ছিল, নদী নিয়া গেছে।”
অভিভাবক মো. সুরুজ মিয়া বলেন, “স্কুলসহ বাড়ি-ঘর বারবার নদী ভাঙনের মুখে পড়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
“সরকারের কাছে দাবি, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ভাঙনের হাত রক্ষা করতে হবে। এছাড়া একটি স্থায়ী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ জরুরি।”
দিনদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে জানিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজম আলী বলেন, "বর্ষা মৌসুমের আগে যদি ভবন নির্মাণ না করা যায় তাহলে পাঠদান কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। বৃষ্টি নামলে পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দিতে বাধ্য হই।”
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শিপ্রা সরকার বলেন, "বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়টি বারবার ভাঙনের ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও দিনদিন কমে যাচ্ছে।
“বিদ্যালয়টি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত অস্থায়ী একটি ভবন নির্মাণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে পারব।”