এদের মধ্যে অনুর্ধ ১৬ দলের সোহাগী কিসকু ও মুন্নী আক্তার আদূরী বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। আর অনুর্ধ ১৫ দলে বিথীকা কিসকু, কোহাতী কিসকু, কাকলী আক্তার, শাবনুর নিয়মিত অনুশীলন করছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়েরা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়। জাতীয় পর্যায়ে গিয়েও দুইবার রানার্সআপ হয়েছে।
মুন্নী আক্তার আদূরী বলে, “মাঠে খেলা শুরু করতেই গ্রামের মানুষ অনেক আপত্তি করত।
“কেন মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলবে? এখন আমরা সেই অবস্থা থেকে উঠে এসেছি।
“আমাদের খেলা দেখে বিভিন্ন গ্রামে মেয়েরা ফুটবল খেলছে।”
সোহাগী কিসকু বলে, “আমরা নিয়মিত অনুশীলন করতে চাই। আমাদের সরকারিভাবে খাবার, খেলাধুলার সরঞ্জামসহ একজন ভালো প্রশিক্ষক দরকার।
“যদি এই সব পাই তাহলে এখান থেকে অনেক ভালো খেলোয়ার তৈরি হবে।”
কাকলী আক্তার বলেন, “আজ বিভিন্ন গ্রাম থেকেও খেলতে আসছে মেয়েরা। জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে, সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলছে।”
বিথীকা কিসকু বলেন, “নিজেদের অভাব অনটন আর সীমাবদ্ধতার কথা ভুলতে শিখেছি ফুটবল খেলায়।
“আমরা ২০১৪ সাল থেকে অনেক ভালো ফুটবল খেলে আসছি, এখন আমাদের সারা বাংলাদশে চেনে।”
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির ছয় জন খেলোয়ার জাতীয় দলে খেলছে। দুই জন ১০ লাখ করে অনুদান পেয়েছে তাদের পরিবার লাভবান হয়েছে। আশা করি বাকিরাও পাবে।
ফুটবল ফেডারেশন থেকে দুই খেলোয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ১০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছেন।