মহাসচিবের দূত আহমেদ আল মেরাইখি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।
দুদিনের মিশন শেষে ঢাকায় করা এক সংবাদ সম্মেলনে মেরাইখি বলেন, “রোহিঙ্গাদের যে সংকট চলছে কেবল মানবিক সহায়তা দিয়ে তার সমাধান সম্ভব নয়।
“মানবিক সহায়তা শুধু তাদের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। কিন্তু সমস্যার পুরোপুরি সমাধান রাজনৈতিকভাবে হতে হবে। আর এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
হেনরিয়েটা বলেন, ‘কক্সবাজারে অবস্থানরত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শিশু রাষ্ট্রহীন শরণার্থী অবস্থায় রয়েছে। তাদের ভবিষৎ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন, হতাশ।
“বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বৈশ্বিক সমাজ হিসেবে আমাদেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠী বিশ্ব ‘রাষ্ট্রহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে, তাদের নিজেদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন।”
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জনবহুল শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত এই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য টেকসই কোনো সমাধান দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। মিয়ানমারে তাদের কোনো আইনি পরিচয় বা নাগরিকত্ব নেই। বাংলাদেশেও জন্মগ্রহণ করা শিশুদের নিবন্ধন করা হচ্ছে না। তাদের বৈধ কোনো পরিচয় ও শরণার্থীর মর্যাদা নেই। সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গারা তাদের কমিউনিটি এবং বিশ্বের কাছে সম্পদ হতে পারে।
এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিবের মানবিক দূত আহমেদ আল মেরাইখি বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমানে আইনি পরিচয় ছাড়া পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অনুকম্পায় রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আরও সহায়তা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জরুরি সহায়তা দিতে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের ২৯ শতাংশ পেয়েছে সংস্থাটি।