যখন ফুটবল, ক্রিকেট, হকির খেলায় দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ও কিশোরীরা, ঠিক সেই সময়ে রাগবির প্রতি আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্কুলটির বিদ্যালয়টির ক্রীড়া শিক্ষক মাসুদ রানা।
সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “ আমাদের মেয়েরা এর আগে হকি খেলায় সুনাম অর্জন করেছে।
“এবার তারা রাগবিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মেয়েরা অনেক বাধা পেরিয়ে এখন মাঠে খেলছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের অনেক সাহায্যে করে।”
প্রশিক্ষণ ও টুর্নামেন্টের আয়োজন করলে অন্যান্য খেলার সঙ্গে রাগবিতেও মেয়েরা এগিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এর আগে ওয়ালটন জাতীয় মহিলা রাগবি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঠাকুরগাঁও। সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-১ পয়েন্টে রংপুরকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে।
মাসুদ রানা জানান, মাত্র চার দিনের প্রশিক্ষণে প্রথম বারের মতো তারা ঢাকা থেকে শিরোপা জিতে এসেছে।
রাগবি খেলায়াররা জানায়, সমাজের নানা বাধা পেরিয়ে পরিবার ও স্কুলের সহযোগিতায় এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে খেলছে। তবে তাদের পর্যাপ্ত খেলার সরঞ্জাম নেই।
ফুটবল খেলা থেকেই জন্ম হয়েছে রাগবির! মূলত খেলাটি হচ্ছে ফুটবল ও হ্যান্ডবল খেলার সংমিশ্রণ। ১৮২৩ সালে যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডে রাগবি নামক একটি স্কুলে ফুটবল খেলা চলছিল। খেলার একপর্যায়ে শিক্ষার্থী উইলিয়াম এলিস পায়ের বদলে হাতে বল নিয়ে বিপক্ষ দলের সীমার দিকে ছুটতে থাকে। আর এভাবেই রাগবি খেলার জন্ম হয়! স্কুলের নাম অনুসারে খেলাটির নাম দেওয়া হয় রাগবি।