প্রবীনদের মুখে শোনা যায় আসাম থেকে জসরুত নামে একজন মনি এসে ছিলেন। সেও কমপক্ষে দুইশ বছর আগের কথা, পোড়াবাড়ির গরুর খাঁটি দুধ, চিনি আর ধলেশ্বরী নদীর পানি দিয়ে তার হাতেই তৈরি হতো সুস্বাদু এই চমচম।
ধলেশ্বরী নদী দিয়ে পোড়াবাড়ীর ঘাটে স্টিমার ভিড়ত। ফলে গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই লালচে ইট রংয়ের রসালো কোমল এই চমচমের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
সময়ের স্রোতে সেই রমরমা অবস্থা হারিয়ে এখন ছোট এক ছোট বাজারে পরিণত হয়েছে পোড়াবাড়ি। আগে ৫০ থেকে ৬০ টি দোকানে চমচম তৈরি হলেও এখন কমতে কমতে দুই একটা দোকান আছে। বর্তমানে পোড়াবাড়ি বাজারে জন সমাগম না থাকায় মিষ্টির দোকানগুলো টাঙ্গাইল শহরের পাচঁআনী বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। এখান থেকেই বিক্রি হচ্ছে চমচম।
৩০ বছর ধরে এই চমচম তৈরি করছেন নারায়ণ চন্দ্র পাল। তিনি হ্যালোকে বলেন, "আগে পোড়াবাড়ি বাজারে কাজ করতাম,
সেখানে মানুষ না থাকায় বর্তমানে কাজ না পেয়ে এখন পাচঁআনী বাজারে কাজ করি।"
"চমচম, রস মালাই, ঘি, সন্দেশ, পনির, রসগোল্লা, জিলাপি মিষ্টি সবকিছুই আমরা এখানে বানাই,-" বলছিলেন বিমল ঘোষ।
গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বাদল ঘোষ বলেন, “দূর দূরান্ত থেকে লোক আসে চমচম কিনতে। এখন আমরা চেষ্টা করছি এই চমচমের ঐতিহ্য ধরে রাখার।”
কালের পরিক্রমায় আগের সেই স্বাদ হারিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় মতিন মাস্টার (৬০)। তিনি বলেন, "চমচমে আগের নাহাল
স্বাদ আর পাই না। সেই স্বাদ হারিয়ে গেছে।”