মাঠের কোল ঘেঁষে রাখা হয়েছে কাঠের শতাধিক বাক্সে। মৌমাছি তাদের আহরিত মধু নিয়ে এসে জমা করছে এসব বাক্সে।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার রাস্তার পাশে বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতে এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে হরহামেশা।
সিরাজগঞ্জ থেকে মধুর ব্যবসা করতে আসা আব্দুর রউফ বাবু নামে এক মৌ চাষী বলেন, “ফুলে মৌমাছি বসলে দ্রুত পরাগায়ন হয় ফলে সরিষার ফলন আরোও ভালো হয়। ফুলে কিছু মিষ্টি জাতীয় তরল পদার্থ থাকে যা মৌমাছি না বসলে অন্যান্য কীটপ্রতঙ্গ খেয়ে ফেলে এবং ঔ বিষাক্ততায় ফল খারাপ হয়। মৌমাছি ঐ রস তুলে আনলে ফলন আরোও ভালো হয়।”
মোন্নাফ হোসেন নামে আরেক মৌ চাষী বলেন, “আমরা এখানে ১০/১৫ দিন আগে ১০০ বক্স নিয়ে এসেছি, আসার পর দুই বার মধু কালেকশন করেছি। এতে প্রায় এক টন মধু সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীতে আরোও এক টন মধু পাব বলে আশা করছি।”
তবে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, মৌচাষ শুরু হওয়ার পর সরিষার ফলন বিঘা প্রতি তিন থেকে চার মণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আখেরুর রহমান বলেন, “স্থানীয়ভাবে মৌ চাষে সরিষার কোনো ক্ষতি হয় না বরং ফলন ২০ থেকে ৩০ গুণ বৃদ্ধি পায়। আমরা স্থানীয় সরিষা চাষিদের অন্যান্য চাষাবাদের পাশাপাশি মৌ চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।”
কাহালু উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মহিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রতিদিনই কৃষকদের কাছে যাচ্ছি এবং সরিষার পাশাপাশি মৌ চাষ সম্পর্কে অবহিত করছি।”