‘দেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর’ (ভিডিওসহ)
২০১৬ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে গণহত্যা নির্যাতন ও আর্কাইভ জাদুঘরটি খুলনার সেন্ট্রাল রোডে প্রতিষ্ঠা করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আর্কাইভের ১০টি কক্ষের দেয়ালে সাজানো আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন নির্যাতন ও ঐতিহাসিক মুহূর্তের তিনশরও বেশি আলোকচিত্র। রয়েছে গণহত্যা বিষয়ক অসংখ্য বই, সাময়িকপত্র, স্মরণিকা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের কপি। গণহত্যার চিত্রকর্ম, খুলনায় মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত টেলিফোন সেট, শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীন, ডা. আলিম চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, নিজাম উদ্দিন আহমদসহ বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে আর্কাইভে। মুক্তিযুদ্ধের বই বিক্রির জন্য জাদুঘরে একটি বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য একটি ক্যাফেটেরিয়া।
এছাড়া গণহত্যা-নির্যাতনের আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম ও বই সংগ্রহের পাশাপাশি স্মৃতিফলক স্থাপন এবং বিভিন্ন প্রকাশনা তৈরি করা হয়েছে।
আর্কাইভের নির্বাহী রোকনুজ্জামান বাবুল জানান, প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ জন আর্কাইভটি দেখতে আসেন।
ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী ইনজামাম বলেন, “চিত্রকর্ম গুলো দেখে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অবস্থা একটু হলে ও আঁচ করতে পারছি।”
শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, “আমি প্রথম এখানে এসেছি। অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারছি, বর্তমান সময়ের সব তরুণরা এখানে আসলে অনেক কিছু জানতে পারবে।”
সোমবার জাদুঘরটির সাপ্তাহিক বন্ধ। শুক্রবার এটি দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের অন্য পাঁচ দিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে জাদুঘর। জাদুঘরে প্রবেশে টিকিটের মূল্য দুই টাকা।