পূজারী ধনঞ্জয় চক্রবর্তীসহ বলেন, বর্তমানে কুমিরপূজা নামে প্রচলিত থাকলেও আসলে এ পূজার মূল নাম বাস্ত পূজা। যাদের বাস্তভিটা অর্থাৎ বসতি রয়েছে, তারাই শত শত বছর ধরে এ পূজা দিয়ে আসছেন।
জনপদের বাস্তভিটা রক্ষায় বাস্ত দেবীকে সন্তুষ্ট করতেই বাংলা বছরের পৌষ সংক্রান্তিতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর বাস্ত দেবী কুমিরের পিঠে চড়ে আসেন।
পূজায় কুমিরই প্রধান অনুসঙ্গ হওয়ায় মানুষের মুখে মখে কুমির পূজা নামে বর্তমানে প্রচলিত। এদিকে পূজার এ কুমিরকে নিয়েও রয়েছে নানা লোক কাহিনী।
পূজা শেষে মাটির তৈরি এ কুমিরের গলা কাটতে হয়। গলাকাটে প্রতীকী হত্যা করা না হলে মাটির কুমির জীবন্ত হয়ে জনপদের মানুষকে আক্রমণ করতে পারে বলেও জনশ্রুত রয়েছে।
দুপুরে শহরের সুগন্ধা পাড়ের জেলা পাড়ায়, গুরুধাম, কাঠপট্টি ও বাঁশপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজ এ পূজা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।