মঙ্গলবার স্থানীয় সংগঠন প্লাটুন টুয়েলভের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবকে ঘিরে আকাশে রঙ বেরঙের ঘুড়ি ও টিলার পাড়ে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
ঘুরে দেখা যায়, উৎসবে মেতে উঠেছে ছোট বড় সব বয়সের মানুষ। রঙ বেরঙের ঘুড়িগুলোর ছিল বাহারি সব নাম। উৎসবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গার প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতাও চলে।
ঘুড়ি উৎসবকে উপভোগ করতে ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন চঞ্চল আক্তার। কথা হলে তিনি বলেন, "এই লোকায়ত ঘুড়ি উৎসবকে টিকিয়ে রাখার জন্য সব জায়গায় এই রকম আয়োজন করা উচিত। একদিনের জন্য হলেও ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন আয়োজকরা।”
তওফিক মাহদী নামে এক শিক্ষার্থী বলে, "আগে একটি ঘুড়ির নাম জানতাম৷ আজ এখানে এসে অনেক ঘুড়ি সাথে পরিচিত হলাম। ঐতিহ্য ধারণ করা এই ঘুড়ি সম্পর্কে আমাদের সবারই জানার প্রয়োজন।"
ভাইয়ের সাথে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে আসা কল্পক চন্দ্র বলে, "একসাথে এত ঘুড়ি কখনও দেখিনি। খুব ভালো লাগছে৷"
আয়োজকদের একজন রুবেল আহমেদ বলেন, "ঘুড়ি উৎসব গ্রাম বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রথম বারের মতো আমাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন। “আগামীতেও এই উৎসব আয়োজনের ধারাকে আমরা অব্যাহত রাখবো।"
উৎসব শেষে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।