সম্প্রতি কয়েকটি স্কুল ঘুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
তিনি বলেন, কোনো কোনো স্কুলে বারান্দা, গ্রন্থাগারে চলছে পাঠদান। এতে করে শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার ৪০৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টি স্কুলে শ্রেণিকক্ষ সংকটের পাশাপাশি অনেক ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
এরমধ্যে জেলার কলমাকান্দার মিতালি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২৫টি স্কুলের ভবনে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩৫টি বিদ্যালয়ে বারান্দা, গ্রন্থাগারে চলছে পাঠদান।
কলমাকান্দার মিতালি বালিকা উচ্চ বিদ্যাল শিক্ষার্থী তসলিমা বলে, “ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলেই আতঙ্কে থাকি।”
একই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জাহানারা বেগম বলে, “কোন সময় যে স্কুলের ঘর ধসে পড়ে ভয় লাগে।”
অভিবাবক আব্দুর রহমান বলেন, বাধ্য হয়েই বাচ্চারা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করে।
মিতালি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, একটি ভবন প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবন সংকটে ঠিকমত পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
“বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে থাকি। বৃষ্টি দেখলেই স্কুল ছুটি দেই।”
এই সংকট সমাধানে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওয়ালী উল্লাহ।