বেসরকারি কিছু স্কুল থাকলেও সন্তানকে সেখানে পড়ানোর সামর্থ্য নেই বলেও জানান কয়েকজন অভিভাবক।
সম্প্রতি বস্তি ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
বস্তির ৮নং গলির বাসিন্দা এলাচি বেগম বলেন, “আমার দুই ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ে।
“আশেপাশে সরকারি স্কুল না থাকায় বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি স্কুলে পড়াতে হয়। তাদের পেছনে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
“সরকারি স্কুল থাকলে আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।”
তাসলিমা বেগম নামে অন্য এক অভিভাবক বলেন, “আমার মেয়ে ক্লাস ফোরে পড়ে। তার পেছনে আমাকে মাসে ৮০০ টাকা খরচ করতে হয়।”
অনেক সময় বেতন সময়মত শোধ করতে না পারায় বাচ্চাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে জানান তিনি।
“আমাকে স্কুলে গিয়ে অনুরোধ করতে হয় যেন আমার মেয়েকে তারা স্কুলে রাখে।”
বস্তিতে বেশ কিছু বেসরকারি ও এনজিও প্রতিষ্ঠিত স্কুল আছে। এমন একটি স্কুল এস এস কল্যাণ স্কুল।
স্কুলটির প্রধান সহকারী শিক্ষক মনি মালা বলেন, তাদের স্কুলে প্রায় ২০০ শিশু পড়াশোনা করে। স্কুলটিতে শিশু শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ আছে। স্কুলে ভর্তি হতে দু’শ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
তিনি বলেন, “বস্তিতে আট হাজারের বেশি শিশু আছে কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী স্কুল নেই। স্কুলে সপ্তম শ্রেণির পরে আর পড়ার সুযোগ না থাকায় এবং অর্থাভাবে অনেক শিশু সপ্তম শ্রেণির পরে আর পড়াশোনা করে না।”
এমন এক ঝড়ে পড়া ছাত্র ইমরান (১১) বলে, “আমার বাবা নেই। মা গার্মেন্টসে কাজ করেন। টাকা না থাকায় আমি ক্লাস থ্রির পরে আর পড়তে পারিনি।”
স্কুলে পড়ার টাকা জোগাড় করতে ইমরান হোটেলে কাজ নিলেও অসুস্থতার জন্য কাজটা ধরে রাখতে পারেনি। তবে এখনও সুযোগ পেলে পড়ালেখা করে ও বড় চিকিৎসক হতে চায়।