পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে শতবছর ধরে নৌকার হাট বসে। পিরোজপুর ছাড়াও ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর, কীর্তিপাশা আর বাউকাঠি ইউনিয়নের কমপক্ষে দশ গ্রামের নৌকার কারিগররা হাটে নৌকা বেচতে আসেন।
তাই বর্ষা আসার আগেই গ্রামের বাড়ি বাড়ি চলে নৌকা তৈরির ধুম। নৌকার হাটে ক্রেতারা আসেন পুরো বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে। সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার বসে হাট।
জলে আর স্থালে যেখানেই চোখ পড়বে নৌকার সারি দেখা যাবে হাটের পুরো মাইল খানেক এলাকা জুড়ে। বর্ষা মৌসুমে বরিশাল অঞ্চলের পেয়ারাহাট, সবজির হাট, কৃষি, মাছ ধরা এমনকি অনেক গ্রামে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতেও নৌকাই একমাত্র বাহন। তাই আষাঢ়ে শুরু হওয়া এ হাট জমজমাট থাকবে আরো দু’মাস ধরে।
স্থানীয়রা জানায়, এক সময় গুটি কয়েক নৌকা নিয়ে হাট বসত। আর এখন মাইল খানেক এলাকাজুড়ে পাঁচ হাজার নৌকা বেচাকেনা হয় প্রতি হাটে। গ্রামের সাধারণ কাঠ দিয়ে বাড়ি বাড়ি নৌকা তৈরি হয়। অনেকে পুঁজি খাটিয়ে নৌকার কারিগর রেখেও নৌকা তৈরি করছেন হাটে বেচার জন্য।
বর্ষা জুড়ে চারমাস চলবে নৌকার জমজমাট হাট। এখন প্রতি হাটে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকার নৌকা বিক্রি হচ্ছে।
আর নৌকার হাটকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার সাধারণ নৌকার কারিগর, গৃহস্থ, মিস্ত্রী এবং ফড়িয়াসহ ১০ হাজার পরিবারের জীবন জীবিকা চলছে।