শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ এলাকার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী তার আড়াই বছর বয়সী ভাজিতা কুশানকে শিখিয়েছেন সাঁতার। শুধু কুশান নয়, এ বাড়ির আড়াই বছর বয়স থেকে শুরু করে সব শিশুই এরই মধ্যে সাঁতার কাটা শিখেছে বলে জানান গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ হেলথ এন্ড ইনজুরি সার্ভের তথ্য অনুযায়ী গড়ে প্রতি আধা ঘণ্টায় একটি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বছরের হিসেবে যা ১৭ হাজারের মতো।
তবে দেশের শহর ও গ্রামে পুকুর ভরাট করে ফেলায় সাঁতার কাটার জায়গা কমে যাচ্ছে। এতে অনেক শিশুই সাঁতার কাটা শিখতে পারছে না বলে মনে করছেন অনেকে।
কুশানদের প্রতিবেশী শিক্ষক বিকাশ রঞ্জন রায় বলেন, আগে গ্রামে প্রায় সব বাড়িতে পুকুর ছিল। এখন দুইশটা বাড়ি খুঁজলে একটা পুকুর পাওয়া যাবে।
“পুকুর না থাকায় সাঁতার শেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা, যে কারণে প্রতিনিয়তই পানিতে ডুবে শিশু মারা যায়।”
আর সাঁতার কাটা শিখতে পেরে খুশি শিশুরা। আর পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ায় অভিভাকরাও খুশি।
কুশানের মা শিক্ষিকা সঞ্চিতা চক্রবর্তী জানান, কয়েক বছর আগে অল্প বয়সে তার বড় ছেলে পানিতে ডুবে মারা যায়। এই শোক তাদের পরিবারকে মানসিকভাবে আঘাত দেয়। তাই তার স্বামীর বড় ভাই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী অল্প বয়সেই বাড়ির সব শিশুকে সাঁতার শিখিয়েছেন।
“আমরা এখন দুশ্চিন্তা মুক্ত। অন্তত পানিতে পড়ে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না,” বলেন সঞ্চিতা।
এ গ্রামের অন্য বাসিন্দারা মনে করেন আড়াই বছরেই সাঁতার শেখা কুশানই হবে না শেখাদের জন্য শেখার প্রেরণা।