সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার করিম সুপার মার্কেটে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মেরামতির একটি দোকানে ঘটনাগুলি ঘটে।
মেনহাজ বলে, ‘কাজ করতে গিয়া হামি কারেন্টের তারের সাথে জড়াইয়া অজ্ঞান হয়্যা গেছনু আর শট খায়্যা হামার পিঠ পুইড়া ফুটা হয়ে গেছল।
‘আরেকবার ঝালাই দিতে যায়্যা হাত পুড়্যা গেছল। এ রকম আরও অনেকবার জখম হইছি।’
ছয় বছর বয়সে মা মারা যাওয়ায় নতুন মায়ের স্নেহবঞ্চিত মেহনাজকে বাবা কাজে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যান সঙ্গে নিয়েই ফেরেন বলে জানান মেহনাজের বাবা।
‘ছোট সময় মেনহাজকে লেখাপড়া করতে ম্যালাবার কছনু। শোনে নাই। আর বাড়িতে থাকলে ওর নতুন মায়ের সাথে সব সময় ঝগড়া হয়। তাই কাজে আসার সময় ওকে আমার সাথে লিয়্যা আসি, সাথেই বাড়ি লিয়্যা যাই,’ বলেন মেনহাজের বাবা।
বাবা নিজেও সেখানে কাজ করেন। ছেলেকেও কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলে মেহনাজের পড়ালেখা করা আর হয়ে ওঠেনি।
মেনহাজ মন খারাপ করে জানায়, ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর স্কুলে যাওয়ার তেমন আগ্রহ হয়নি আর তখন পড়ার কথা সেভাবে বোঝেওনি।
‘এখন ইস্কুলে যাইতে মন চাইলেও, শরমে পারি না’, বলে মেহনাজ।
মেনহাজের দাদা ওসমান আলী জানান, মেনহাজের মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলেকে লেখাপড়া করানোর। সে মারা যাওয়ায় আর সেটা হয়ে ওঠেনি।