হাওর অধ্যুষিত উপজেলা নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ। জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট বড় ৮০টি হাওরের মধ্যে মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা সবচেয়ে বড় হাওর। এই হাওর পাড়ের ভাটাপাড়া, জৈনপুর, রঘুরামপুর, কেন্দুয়া, নোয়াগাঁওসহ অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার যুগ যুগ ধরে পাটি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জৈনপুর গ্রামের অনিল দাস বলেন, “কাঁচা মালের খরচ বাদে পাটি বিক্রিতে যে টাকা লাভ হয় তাতে পোষায় না।”
রঘুরামপুর গ্রামের পাটি তৈরির কারিগর অনিতা দাস বলেন, “সাধারণ পাটি চারশ থেকে পাঁচশ টাকা ও শীতল পাটি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়।”
গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও এই পাটি তৈরির কাজ করছে।
জেলা শহরের বড়বাজারের পাটি ব্যবসায়ী রুহিদাস বনিক বলেন, “মোহনগঞ্জের হাওর এলাকার মানুষদের তৈরি পাটির দেশ জুড়ে খ্যাতি রয়েছে।”
পাটি তৈরির এ কাঁচামালকে স্থানীয় ভাষায় মুক্তা বলা হয়। মুক্তা এলাকাতেই চাষ হয়।
ভাটাপাড়া গ্রামের জীবন বর্মণ নামের এক মুক্তা চাষি বলেন, “একবার আবাদ করলে অন্তত ১০ বছর ফলন পান মুক্তাচাষীরা। ১০ শতক জমিতে চাষ করে লাভ পান প্রায় ১৫ হাজার টাকা।”