৩২ দেশের ফুটবল দ্বৈরথের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে ইতোমধ্যেই। বিশ্ববাসী যেন প্রস্তুত ফুটবলের জাদুতে বুঁদ হতে।
উত্তেজনার হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। প্রিয় দলের পতাকায় ছেয়ে গেছে বাড়ির ছাদ। কেউ আবার পুরো বিল্ডিং রং করেছেন প্রিয় দলের পতাকার আদলে।
সমর্থকরা ভীড় জমাচ্ছেন জার্সি কিনতে। জার্সি আর পতাকা বেচাকেনা এখন রমরমা। সাথে আড্ডায় চলছে ফুটবল নিয়ে নানান তর্ক-বিতর্ক। চাহিদার তুলনায় যোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
হ্যালোর মুখোমুখি হন গুলিস্তানের এক স্পোর্টস শপের বিক্রয়কর্মী।
তিনি বলেন “বেচাকেনা ভালো। কিন্তু মার্কেটে মালই নেই। চায়নার মাল পাওয়াই যাচ্ছে না। ক্রেতা প্রচুর কিন্তু মাল নেই।“
ক্রেতাদের অভিযোগ বিশ্বকাপের হাওয়ায় বেড়েছে জার্সির দামও। এ অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “এটা যারা আমদানিকারক আছে তারা যদি ১০ টাকায় বেচে, ওটা আমরা ১২ টাকায় বেচি। এখানে খুচরা বিক্রেতাদের হাত নেই।“
বাচ্চাদের চাহিদাও প্রচুর বলে জানান তিনি।
অন্য এক বিক্রেতা বলেন, “যেটার যেরকম দাম ওরকম রাখছি। দুইশ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জার্সি বিক্রি হচ্ছে।“
গতবারের চেয়ে তুলনামূলক এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঈদের বাজারও জার্সির বাজারে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে জানান তিনি।
জার্সির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে পতাকাও। অনেকে আবার কিনছেন প্রিয় দলের পতাকার নকশা করা রিস্টব্যান্ড কিংবা চাবির রিং।
এক বিক্রেতা হ্যালোকে বলেন, “যেই দল সমর্থন করবেন তার পতাকা না লাগালে তো সমর্থন ৫০ শতাংশ বাকিই রয়ে গেল। এখন আধুনিক যুগ। সবাই রিস্টব্যান্ডও পরে। এটা ফ্যাশনেবল।”
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না খেললেও অনেকেই বসে আছেন আশা নিয়ে। এক ক্রেতা বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলে না। খেলবে ইনশাল্লাহ। এখন না হোক বিশ বছর পর খেলবে।“
বিশ্বকাপ আসলেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা জাগে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বিশ্বকাপ আসলেই জেগে উঠে। বিশ্বকাপ আসলেই আর্জেন্টিনার জন্য ভালোবাসা জেগে উঠে।“
চার ও সাত বছর বয়সী দুই ছোট্ট ভাগিনার জন্য জার্সি খুঁজতে এসে তাদের মাপের জার্সি পাচ্ছেন না এক ক্রেতা। তিনি জানালেন তার কাছে বিশ্বকাপের উন্মাদনাটাই অন্যরকম।
ফুটপাথের এক নিয়মিত জার্সি বিক্রেতা জানান আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানির জার্সি চলছে বেশি। তিনি বলেন, “বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ভালোই। আমাদের এখানে দামটা মার্কেটের চেয়ে একটু কম।“ দাম কম হলেও জার্সির মান কাছাকাছি বলে দাবি করেন তিনি। প্রতিদিন শতাধিক জার্সি বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
ফুটপাথ থেকে জার্সি কেনা এক ক্রেতা বলেন, “বিশ্বকাপ উপলক্ষেই জার্সি কেনা। জার্সির দাম একটু ভালোই। মার্কেটে গেলে আরেকটু বেশি। তবে এখানে একটু কমই।“
এক পতাকা বিক্রেতা জানান দিনে ১৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয় তার।
তিনি বলেন, “আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানির পতাকা চলছে। ফ্রান্সের পতাকাও চলছে।“