যশোরের পৌর হকার্স মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেট, সিটি প্লাজা, বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় বড়দের থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই শিশুরা।
প্রায় দোকানগুলোতেই শিশুদের জন্য বিভিন্ন সংগ্রহ চোখে পড়ে। তবে শিশুদের জন্য বিশেষ দোকানগুলোতে ভিড় তুলনামূলকভাবে বেশি। যশোরে কেবল শহরাঞ্চলে ২০টির অধিক এ ধরনের দোকান রয়েছে।
রঙ-বেরঙের নকশা করা পোশাক নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই শিশুদের।
আফিফা নামের ১০ বছর বয়সী এক শিশু জানায়, এবার ঈদের জন্য সে পাঁচটা জামা কিনেছে। এবার সে মেহেদী কিনবে।
কথা হয় নাবিলা নামে এক শিশুর সঙ্গে। ও জামা ও পার্টি জুতা কিনেছে।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের থেকে এ বছরের বেচা-কেনা শুরু থেকেই বেশ জমজমাট।
শিশুদের থেকে অভিভাবকদের ব্যস্ততা বেশি। তাদের অনেকেই ভাবনায় পড়ছেন শিশুদের কেনাকাটা নিয়ে। কেউ একটানা দুই ঘণ্টা ধরে বাজার করছেন, আবার কেউ একটা জামা খুঁজতে শিশুর হাত ধরে ঘুরেছেন দোকানের পর দোকান।
নিজের জন্য এখনো কিছু না কিনলেও ছেলে ও মেয়ের জন্য চতুর্থ দিনের মতো বাজারে এসেছেন এক অভিভাবক।
আরেকজন অভিভাবক জানান, ছোটদের মনের মতো পছন্দের জিনিস কিনে দেওয়া বেশ কঠিন। আবার অনেকের মতামত, ছোটদের আকর্ষণের সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা বেশি দাম চাইছেন।
স্টেডিয়াম এলাকায় পৌর হকার্স মার্কেটে দেখা মেলে স্বল্প আয়ের মানুষের।
হেলাল আলী, পেশায় একজন চা বিক্রেতা। ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন জামা কিনতে। আগের ঈদে ছেলেকে একটা প্যান্ট দিয়েছিলেন। এবার একটা জামা আর একটা খেলনা কিনে দিতে পেরেছেন। শিশুটি সেগুলো হাতে নিয়ে খুব খুশি। যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেয়েছে।