মাঝরাতেও সিলেটের ফুটপাত জমজমাট

ঈদ উপলক্ষে নিউ মার্কেট, শপিংমলের ঝকমকে দোকানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নগরীর ফুটপাতগুলিতেও মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কাপড় কেনাবেচা।
মাঝরাতেও সিলেটের ফুটপাত জমজমাট

সম্প্রতি সিলেটের কিনব্রিজ মোড় থেকে শুরু করে জিন্দাবাজার ফুটপাতগুলো এখন রীতিমতো মিনি মার্কেটে পরিণত হয়েছে।

ক্রেতা মাহাবুব হোসেন জানান, তিনি নিন্ম আয়ের মানুষ। বড় দোকান থেকে তার পক্ষে কাপড় কেনা সম্ভব নয়। এজন্য ছেলেকে এখানে নিয়ে এসেছেন প্যান্ট কিনতে। ছেলের পছন্দমতো আড়াইশ টাকা দিয়ে জিন্স প্যান্ট কিনে দিয়েছেন।  

ফুটপাতের দোকানদার শাকিল হোসেন জানান, আমরা নিজেরাই ব্যবসা করি। কোন কর্মচারী রাখার দরকার হয়না। আমরা স্বল্পলাভে অন্য দোকানের তুলনায় কমদামে পোশাক বিক্রি করতে পারি। রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেশ ভালো। তবে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।

অপর দোকানদার আলাউদ্দিন জানান, শুধু গরিব মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও এখানে আসেন।

তিনি আরো জানান, বড় বড় দোকানে পোশাকের দাম অনেক বেশি। কর্মচারী, আলোর ব্যবস্থা, দোকান ভাড়া সবদিক দিয়ে তাদের অনেক দাম রাখতে হয়। ফলে নিন্ম আয়ের লোকজনের পক্ষে সেখান থেকে কেনা সম্ভব হয় না।

ফুটপাতের দোকানগুলোর জন্য কোনো ভাড়া দিতে হয় না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য নাই কোন আলোকসজ্জা, দামি ও বিদেশি পোশাক। ফলে স্বল্প লাভে ফুটপাতের বিক্রেতারা ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করে কেনাবেচা হয়।

শপিংমলে দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ফুটপাতকেই বেছে নিয়েছেন।  

জাঁমজমকপূর্ণ আলো ঝলমলে মার্কেটে পোশাকের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের একমাত্র ভরসা এই ফুটপাত।

নামীদামী শপিংমলে কেনাকাটার ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফুটপাতের দোকানে ছুটছেন নগরীর অনেক মানুষ। নিজেদের আদরের ছেলেমেয়ে বা প্রিয়জনকে ঈদের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্য কিনে দেন এই ফুটপাত থেকেই।

ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, বেল্ট, লুঙ্গি, টুপি, সুগন্ধি থেকে শুরু করে মেয়েদের শাড়ি, ঘড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, রেডিমেড কামিজ, টপস, টাইটস, কাটা কাপড়, বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশান গহনা, কসমেটিকস, বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ফ্রক, স্কার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, বড় ছোট সবার জুতা, স্যান্ডেল, চশমাসহ প্রায় সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com