তিনি প্রায় দেড় বছর যাবত এ কাজ করে আসছেন।
সম্প্রতি জেলার তাড়াশ উপজেলার দোবিলা মেলায় সুতার ছাতা বিক্রি করতে আসলে কথা হয় তার সাথে।
জানা যায়, তার বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর রেলবাজারের পাশে মহেশপুর গ্রামে।
বড় মেয়ে সিরাজগঞ্জ ম্যাটস থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সের শেষ বর্ষে এবং ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। প্রতিদিন লেখাপড়ার খরচসহ মোট ছয়শ টাকার মতো সংসারে খরচ হয়।
আব্দুল আলিম বলেন, “আমি যখন নিজের পরিবার নিয়ে বাবার সংসার থেকে ভিন্ন হই তখন আমার কিছুই ছিল না। আমি খুব হতাশার মধ্যে ছিলাম।
“পরবর্তীতে আমি সুতা দিয়ে ছাতা তৈরি করা শিখি এবং এ ছাতা বিক্রি করেই সংসার চালাতে শুরু করি। এতে আমার স্ত্রী ও মেয়ে আমায় সাহায্য করে।”
সুতা দিয়ে ছাতা তৈরির পদ্ধতি ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জিআই তার (এক ধরনের শক্ত তার) দিয়ে ছাতার ফ্রেম তৈরি করার পর রঙিন সুতা পেচিয়ে তা ঢেকে দেঅয়া হয়। এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ছাতার ছাউনির ওপর পুতি ও চুমকি ব্যবহার করা হয়। আর এটা শুধু ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য।”
তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, “প্রথম দিকে খুব ভালো বেচাকেনা হতো না। তবে এখন আমি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে এই ছাতা বিক্রি করি এবং ভালো বেচাকেনাও হয়।”
তিনি জানান, প্রতিদিন একজন ২৫-৩০টি ছাতা তৈরি করতে পারেন। প্রতিটি ছাতা বিক্রি করেন ২০-৩০ টাকা করে। এখন প্রতিদিন সাতশ টাকা ইনকাম হয় তার।
তার স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, “আমি আমার ছেলেমেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই আর সারা দেশে আমার এ ছাতা ছড়িয়ে দিতে চাই।”