ও বলে, “আমার হাত ভালো হয়নি। আবার ফুলে গেছে, মাঝে মাঝে যন্ত্রণা করে। তবে ডাক্তার আঙ্কেলরা বলেছিলেন মাঝে মাঝে তাদের ফোন করতে। ডাক্তার আঙ্কেলরা ফোন দিলে তখন কথা হচ্ছে।”
মুক্তার বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী মুক্তামনির চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১২ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে মুক্তামনির চিকিৎসা করান চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি মুক্তার তার হাতে, পায়েসহ সমগ্র শরীরে অস্ত্রোপচার করেন। রোগ নির্ণয় করে জানানো হয় তার রক্তনালীতে টিউমার রয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার শেষে ২৪ ডিসেম্বর তাকে বাড়িতে ফেরত দেওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগে তবু ঘর থেকে উঠানে হেঁটে এসে বসতো। কথা বলতো সবার সাথে। এখন কথা বলতে পারছে, তবে অনেক কষ্টে। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিও হারিয়েছে। ঔষধও যেমন খেতে পারছে না তেমনি স্বাভাবিক খাবার খাওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামার বায়সা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মুক্তামনির ডান হাত ব্যান্ডেজ করা। বোন হীরামনি অসুস্থ অবস্থায় তার সেবা চালিয়ে যাচ্ছে। ছোট্ট ভাই মিকাঈলও দিচ্ছে প্রয়োজনীয় সঙ্গ। কিন্তু ভেঙে পড়ছে মুক্তামনির মা আসমা খাতুন। বাবা ইব্রাহিমও একমাত্র আয়ের উৎস মুদির দোকানটি ঠিকমতো খুলছে না।