বাগেরহাটের মা ও শিশু কেন্দ্র: প্রসবের ব্যবস্থা আছে, নেই শিশু বিশেষজ্ঞ (ভিডিওসহ)

বাগেরহাটের মা ও শিশু কেন্দ্র: প্রসবের ব্যবস্থা আছে, নেই শিশু বিশেষজ্ঞ (ভিডিওসহ)

প্রসবের ব্যবস্থা থাকলেও, শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তাররা।

প্রতি মাসে এ কেন্দ্রের ডাক্তারদের হাতে ৫০টির বেশি শিশু জন্ম নেয়। এছাড়াও গড়ে দুই হাজার শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান ডা. মো. আবদুস সামাদ।

এ কেন্দ্রে শিশু বিশেষজ্ঞর পদ না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একটি শিশু ডেলিভারির পরে নিশ্চিতভাবে যে সার্ভিসটা আমরা দেই, আমরা পারি জানি দেই সেটা, কিন্তু একজন শিশু বিশেষজ্ঞ যা পারেন ততটা তো আমরা পারব না।’

মাসে ৫০টির বেশি স্বাভাবিক প্রসব ছাড়াও কয়েকটি সিজার অপারেশন হয়ে থাকে এখানে। এক মাসে ২৬টি সিজার করে প্রসবের রেকর্ড আছে বলেও তিনি জানান।         

প্রধানত নারীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলেও ‘মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’ মায়েদের সাথে অনেক শিশু ডাক্তার দেখাতে আসে। এদের মধ্যে এক মাসের কম বয়সের শিশু অনেক রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘অধিদপ্তরকে বলতেছি, এখানে শিশু বিশেষজ্ঞ পদে একজন বিশেষজ্ঞ পোস্টিং দিলে শিশুকে তখন সার্ভিসটা বাড়বে। তখন ইনকিউবেটর ব্যবহার করা যাবে। শিশু ওয়ার্ড করে শিশুকে তখন ভর্তিও রাখা যাবে।'    

কেন্দ্রে কয়েকজন মাকে দেখা গেল সন্তান সাথে নিয়ে এসেছেন। তাদের একজন জানান, তার মেয়ের জ্বর। সিরাপ খাওয়ানোর পরেও জ্বর কমছে না বলে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সংকটের পাশাপাশি বাগেরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্যাথলজি বিভাগ না থাকায় শিশুসহ অভিভাবকদের ভুগতে হচ্ছে বলে জানালেন এ কেন্দ্রের আরেক মেডিকেল অফিসার ও অ্যানেস্থেসিস্ট অনিল কুমার কুন্ডু।

প্রসবের সময় অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কাজ করেন, অন্য সময় মা ও শিশুদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন তিনি।

প্রতিদিন শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এই চিকিৎসক মনে করেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পদ না থাকায় ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারি ভাবে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ করা হলেও শিশুর জন্য আরও অ্যান্টিবায়োটিকসহ ওষুধ দরকার বলে জানালেন তিনি।

 

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com