সাতক্ষীরার সুলতানপুরের পালপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের সাথে সম্প্রতি হ্যালোর কথা হলে এরকম জানান তারা।
কুমার বাড়ির বউ ও শিল্পী অঞ্জনা পাল জানান, মাটির জিনিসের চাহিদা নাই। ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষার্থী পূর্ণিমা পাল জানায়, পূর্বপুরুষের পেশা টিকিয়ে রাখতে বাবাও এ কাজ করেন। তবে এখন আর এ কাজ করে সংসারের খরচই চলে না। পড়ালেখার খরচ চালানোও খুব সংকটের। একই রকম অভিমত ছোট্ট শিশু অনিমা পালের।
মৃৎশিল্পী বন্দনা পাল, স্বরস্বতী পাল, বৈদ্য পাল সবাই নিজেদের পেশা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
দুলাল পাল নিজেদের পেশার শোচনীয় অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য কাজ করতে চান। তিনি এমন কাজ চান, যে কাজ করলে সংসার চালিয়ে ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা করাতে পারবেন।
বাজারে মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও শখের জিনিস দুইয়েরই চাহিদা কমে গেছে। ফলে এ শিল্পটি প্রায় বিলুপ্তির পথে।
কী করলে মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা যায় ও এ পেশার মানুষের সংকট কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে সে ধারণা দিতে গিয়ে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ, মৃৎশিল্পীদের সংকট মোকাবেলায় কী করা যায় তা ভেবে দেখতে পারেন।’