শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কড়াকড়ি সত্বেও চলতি এসএসসি পরীক্ষাতে বাংলা ও ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে পরীক্ষার্থী রিমি হ্যালোকে জানায়, সে যা পড়েছে তা দিয়েই পরীক্ষা দেবে। অসৎ উপায়ে ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে চায় না সে।
সে আরও বলে, ‘ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছে যারা তাদের ফল হয়ত ভালো হবে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা হবেনা।
‘একসময় সেই শিক্ষার্থীরা কলেজ জীবনে ঝরে যাবে। ক্ষতি হবে তাদের।’
ফাতেমা নামের এক পরীক্ষার্থী বলে, ‘পরীক্ষার হলে প্রশ্ন হাতে পেলেই মনে হয়, এটি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। মন খারাপ হলেও ভাবি, যা পড়েছি সেভাবেই উত্তর লিখব।’
সাব্বির জানায়, পরীক্ষার হলে এতো কড়াকড়ি না করে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা জরুরি। না হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, খুব তাড়াতাড়ি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রকে ধরুন। তা নাহলে শিক্ষিত জাতি গড়া সম্ভব হবে না।’
আরেক শিক্ষক কাছিদা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রণালয়কে আরও কর্মঠ হওয়ার আবেদনন জানাচ্ছি। প্রশ্নফাঁসের মতো জঘন্য অপরাধটা বন্ধ করতেই হবে।’
এভাবেই হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। বাকি আছে আরও অনেক বিষয়। শুধু পুরস্কার ঘোষণা না করে আরও উদ্যোগী না হলে বাকি পরীক্ষাগুলিও ঝুঁকিতে পড়বে বলে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।