সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর ধারে ২৫টি পরিবারের বসবাস। এরমধ্যে শিশু রয়েছে ৩০ জন।
বেদে পল্লীর ৮৫ বছরের বৃদ্ধা ফেলানী খাতুন বলেন, “আমরা বেদে লোক। আমরা নদীর ধার, মাঠঘাট, স্কুলসহ যেখানে সুযোগ পাই সেখানেই থাকি এবং চেয়ে খাই। লেখাপড়া অনেক দূরের বিষয়।”
গৃহবধু মালা বেগম বলেন, “আমরা বাচ্চাদের পড়ালেখা করাতে পারি না। সরকার থেকে কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা শিশুদের লেখাপড়া করাতাম।”
মরনি বেগম নামের আরেক গৃহবধু বলেন, “বাপ-দাদার আমল থেকেই আমরা এই পেশায় জড়িত। অর্থের অভাবে আমরা শিশুদের পড়াতে পারি না।”
শিশু রুজারুল ইসলাম (৬) বলে, “আমরা বাবা-মায়ের সাথে থাকি। এখানে তো আর স্কুলে পড়তে পারব না।”
আতিকুল ইসলাম (১৫) বলে, “আমাদের পূর্বপুরুষরা এই ব্যবসা করছে; তাই আমরাও পেটের দায়ে এ ব্যবসা করছি। আমার বাবা-মা সাপুড়িয়া, তারা সাপ ধরে খেলা দেখায়।
“আমি ছোট থেকে লেখাপড়া করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এ শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, “ভুল্লী নদীর ধারে বেদে পল্লী রয়েছে এবং সেখানকার শিশুরা যে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না সেটি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।
“আসলে বেদেরা এক জায়গায় দীর্ঘদিন বসবাস করে না। যার ফলে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। আমি নিজে অথবা আমাদের কর্মকর্তাদের দিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করাব। সেই সাথে বেদে পল্লীর শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হবে।”