তিনি বলেন, পিরিয়ডের সময় রক্তক্ষরণ হচ্ছে এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা সমস্ত সুস্থ মেয়েরই হয়ে থাকে। এসময় বাবা মা কন্যা শিশুর দুশ্চিন্তা বা ভয় দূর করার জন্য সাহায্য করতে পারেন।
পিরিয়ড সম্বন্ধে জানার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে, যেমন শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, বইপত্র ও শিক্ষামূলক তথ্যচিত্র।
মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একজন মা হয়তো তার ব্যক্তিগত মন্তব্য দিয়ে শুরু করতে পারেন। মা নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বলতে পারেন, ‘আমি যখন তোমার বয়সী ছিলাম, তখন ভাবতে শুরু করেছিলাম যে, পিরিয়ড হলে কেমন লাগবে। স্কুলে আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমি এই বিষয় নিয়ে কথা বলতাম। তোমার বন্ধুরা কি এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করতে শুরু করেছে?’
এভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে, পিরিয়ড সম্বন্ধে সে ইতিমধ্যেই কী জানে এবং কোনো ভুল ধারণা থাকলে তা দূর করতে হবে।”
মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়টার জন্য তৈরি থাকুন যে, প্রথম প্রথম আলোচনায় আপনাকে হয়তো সব নাও বলতে পারে। আর আপনাকেই বেশির ভাগ কথা বলতে হবে।
“পিরিয়ড সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়াকে শুধু আলোচনা হিসেবে না দেখে শিক্ষা হিসেবে নিতে হবে।”
এসময় তিনি কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবার ও পরিষ্কার পানি খাওয়ার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন।