সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, প্রথম ঋতুস্রাবের সময় অস্বস্তিকর সময় কাটিয়েছে। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে তা অজানা থাকায় বিড়ম্বনায় পড়ে সে। তার বান্ধবীরাও একই সংকট পাড়ি দিয়েছে।
স্কুলে কখনও এরকম ঘটনা ঘটলে কাউকে বলা যায় না। স্কুল থেকেও কোনো সহায়তা পায় না বলে আক্ষেপ ওর।
সে জানায়, বাড়িতে অভিভাবকরাও এমন ধারণা দেন, যেন এটা খুব গোপন একটা বিষয়। এ সময়ে কোথাও যাওয়া যাবে না, এ নিয়ে কথা বলা যাবে না। তাই এ সময়, অন্য সব ব্যাপারে জড়সড় থাকার সাথে সাথে মানসিক বিকাশও ব্যাহত হয় বলে মনে করে ও।
একজন অভিভাবক মনে করেন, এ সমস্যাটি ১৩/১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়।
একজন শিক্ষক বলেন, 'পাঠ্যবইয়ে এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। তবে সংকোচের কারণে শিক্ষকরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু ব্যাপারটি এত জটিল কিছুই নয়, প্রাকৃতিক একটা নিয়ম মাত্র।'
নারীনেত্রী আমিনা বিলকিস ময়না এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক সময়ে পিরিয়ডের আগে বা পিরিয়ড চলাকালে শিশুর পেটে ব্যথা হয়। তখন বাড়ির মা, বোন বা ভাবিরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যান না। তারা মনে করেন, ব্যাপারটি লজ্জার। এটা নিয়ে ডাক্তারের কাছে কিছু বলা যাবে না।’
প্রাথমিক অবস্থায় কিশোরীদের এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন ময়না।