প্রাথমিকে প্রশ্নফাঁস চান না অভিভাবক

সম্প্রতি শেষ হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় মিলেছে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ। প্রাথমিকে এর পুনরাবৃত্তি চান না অভিভাবকরা।
প্রাথমিকে প্রশ্নফাঁস চান না অভিভাবক

প্রাথমিক সমাপনী চলছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে জেএসসি পরীক্ষা। এর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রও ফেইসবুকে পাওয়া গেছে; যার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের পুরোপুরি মিল পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।  

সমাপনী পরীক্ষায় এমন ঘটনা দেখতে চান না অভিভাবকরা। মেধাবিকাশের জন্য এটি বন্ধ হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকার মতিঝিল মডেল স্কুলের কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে হ্যালোর মুখোমুখি হন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। প্রশ্ন ফাঁসে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তারা। 

অভিভাবক মুন্না এর পরিণতি ভয়াবহ বলে মনে করেন।

প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মতামত দিয়ে লাভ নেই। কোনো প্রতিকার তো হচ্ছে না! প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে কী করতে হবে, সেটা আমার চেয়ে বেশি জানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের সদিচ্ছা প্রয়োজন।’    

রুনা  নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হলে ভালো-মন্দের তফাৎটা থাকে না।’

শিক্ষাজীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।

অভিভাবক মারুফ শুধুমাত্র সরকারকে দোষ দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। প্রশ্ন তো সরকার থেকে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে আসে। মাঝে হাতবদল হয়। সেখান থেকেও ফাঁস হতে পারে।’

প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হয়ে গেলে পাশের হার কমে যেতে পারে কিনা এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কমলেও ভালো। আমরাও তো পাশ করে এসেছি। তখন তো এমন হতো না।’ 

মোহাম্মদ গোলাম শাফি এটিকে মারাত্মক সমস্যা বলে মনে মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস এখন একটা মারাত্মক সমস্যা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনতাও প্রয়োজন।

'আমার ছেলে এখন নাইনে পড়ে। ওর ক্লাস ফাইভ ও এইটের পরীক্ষার আগে   প্রশ্ন পেয়েছিলাম। কিন্তু তাকে দেখতে দেইনি।’

সমস্যাটি অনেক দিনের আর সমাধানের জন্য তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ তিনি দেখেননি বলে জানান।

তার সন্তান সাজিদ আনজুমও চায় না প্রশ্ন ফাঁস হোক। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেয় তাদের ফলাফল খারাপও হতে পারে বলে মনে করে সে।

সে বলে, ‘যে বিষয়ে প্রশ্ন ফাঁস হয় না, ঐ পরীক্ষা তাদের খারাপ হতে পারে।’  

পরীক্ষার্থী আবিদ প্রশ্ন ফাঁসের কথা শুনেছে বন্ধুদের মুখে। আবিদ বলে, ‘বন্ধুরা অনেকে বলেছে ফেইসবুকে নাকি প্রশ্ন পাওয়া যায়।’   

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com